ওমর সিরিজ হলো একটি ঐতিহাসিক সিরিজ যা ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনে আল-খাত্তাবের জীবনী নিয়ে নির্মিত। ওমর সিরিজটি ২০১২ সালে প্রথম প্রচারিত হয়েছিল এবং এটি দ্রুতই দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সিরিজটি তার সঠিক ও তথ্যপূর্ণ উপস্থাপনার জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
পর্বঃ ১ (তার যৌবনের সময়) – হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) ছিলেন ইসলামী রাষ্ট্রের দ্বিতীয় খলিফা। তিনি ইসলাম গ্রহণের পর একজন আদর্শ মুসলিম শাসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
পর্বঃ ২ (ইসলাম শুরু হয়) – হিজরতের আগের বছর, অর্থাৎ ৬২১ খ্রিস্টাব্দে কুরাইশদের একটি বৈঠক। ইসলাম মক্কায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এর ফলে কুরাইশ নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কুরাইশ নেতারা ইসলামের বিস্তার রোধ করার জন্য একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে ওমর ইবনুল খাত্তাবও যোগ দেন।
পর্বঃ ৩ (আবু লাহাব) – আবু লাহাব মুসলমানদের বিরুদ্ধে চরম কর্মকাণ্ডের জন্য সূরা লাহাবে নিন্দিত হয়েছেন। আবু লাহাব ছিলেন একজন ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ইসলাম প্রচারের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত ছিলেন।
পর্বঃ ৪ (পারিবারিক বিষয়) – হজের মৌসুম আসন্ন হওয়ায় কুরাইশ নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারণ, তারা ভয় পাচ্ছিলেন যে, অন্যান্য গোত্রের লোকেরা হজ পালনের সময় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কথা শুনে ইসলাম গ্রহণ করতে পারে। কুরাইশ নেতারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ দেন, কিন্তু তাতেও তারা সফল হননি।
কুরাইশ নেতারা তাদের নিজের পরিবারের সদস্যদেরও হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে মুখোমুখি হতে বাধা দিতে পারেননি। অনেক কুরাইশ পরিবারের সদস্য হজ পালনের সময় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কথা শুনে ইসলাম গ্রহণ করেন।
পর্বঃ ৫ (নির্যাতনের শুরু) – কুরাইশ নেতারা তাদের পরিবারের সদস্যদের, এমনকি দাসদেরও নির্যাতনের সিদ্ধান্ত নেন। ওমর ইবনুল খাত্তাবও এই সিদ্ধান্তের সমর্থন করেন। ওমর ইবনুল খাত্তাবের বন্ধুরা মুসলমান হওয়ার কারণে নির্যাতনের শিকার হন।
পর্বঃ ৬ (বিলাল স্বাধীনতা লাভ করেন) – হযরত বিলাল (রা.)কে ক্রমাগত নির্যাতন করা হয়। হযরত বিলাল (রা.) এর মনিব উমাইয়া ইবনে খালফের নির্দেশে তাকে নির্যাতন করা হয়। হযরত বিলাল (রা.) ইসলাম গ্রহণের কারণে নির্যাতনের শিকার হন।
পর্বঃ ৭ (আবিসিনিয়া তে হিজরত) – মুসলমানদেরকে আবিসিনিয়ার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। মুসলমানদের শত্রুরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।
পর্বঃ ৮ (ওমর এর ইসলাম গ্রহণ) – হযরত উমর (রা.) তার বোন ফাতেমা (রা.) কে কুরআন তেলাওয়াত করতে শুনেন। হযরত উমর (রা.) তার বোনকে কুরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করেন এবং তিনি ক্রুদ্ধ হন। হযরত উমর (রা.) নিজে কুরআন তেলাওয়াত করে ইসলাম গ্রহণ করেন।
পর্বঃ ৯ (মুসলমানদের বিরুদ্ধে বয়কট) – কুরাইশরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বয়কট শুরু করে। কুরাইশরা মুসলমানদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়।
পর্বঃ ১০ (ইয়াসরিবে(মদিনা) হিজরত) – কিছু মুসলমান মদিনায় হিজরত করে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাদের সাথে যোগদানের জন্য মদিনায় হিজরত করেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনে মুসলমানরা খুব আনন্দিত হয়। মদিনায় মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। মদিনায় নতুন করে ইসলাম গ্রহণকারীদের সাথেও মক্কা থেকে আগত মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।