হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসন চুক্তি ভঙ্গ করে অনলাইনে ব্ল্যাক উইডো চালানোর জন্য ডিজনির বিরুদ্ধে মামলা করেন। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এই সুপারহিরো ছবি প্রথম সপ্তাহে কোম্পানি রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে সিনেমাটি অনলাইনে প্রচার হচ্ছে। ব্ল্যাক উইডোর প্রধান চরিত্র স্কারলেট দাবি করেছেন যে চুক্তি ভঙ্গ করে অনলাইনে প্রচারের জন্যে সে তাঁর প্রাপ্ত আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ব্ল্যাক উইডো আয় করেছে ২১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু পরের সপ্তাহ থেকে সেই আয় কমতে শুরু করে।
চুক্তি অনুযায়ী হলে যত বেশি টিকিট বিক্রি হবে তাঁর উপর ভিত্তি করে তিনি একটা লভ্যাংশ পাবেন। এমনটাই হয়ে আসছিল আগে থেকেই। মারভেলের সাথে এই চুক্তি মেনেই আইরন ম্যান খ্যাত রবার্ট ডাউনি জুনিয়র. ছিলেন সর্বোচ্চ আয়কারি অভিনেতা।
প্রেক্ষাগৃহে ৯০ দিন চালানোর পরে ওটিটিতে দেয়ার কথা ছিল। স্কারলেট জোহানসনকে এমন তাই আশ্বস্ত করেছিলেন মারভেল স্টুডিও। যে ছবিটি কেবল প্রেক্ষাগৃহেই দেখানো হবে। কিন্তু চুক্তি ভেঙ্গে দ্বিতীয় সপ্তাহে ছবিটি স্ট্রিমিং করা হয় ডিজনির অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। এতে তিনি বিপুল পরিমাণ আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি জানান।
অন্যদিকে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডিজনি থেকে জানানো হয় যে, যা করা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ চুক্তি মেনেই করা হয়েছে। অভিনেত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। ডিজনি আর বলেন, অনলাইনে ছবিটি চললে বরং সেখান থেকেও বাড়তি আয় পেতেন স্কারলেট।
করোনার কারণে হলিউডের অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমা নির্মাণ বন্ধ রেখেছেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধই হয়ে গেছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সিনেমা মুক্তি দিচ্ছে অনলাইনে। তবে ডিজনি, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ছবি প্রেক্ষাগৃহ ও অনলাইন দুই জায়গাতেই মুক্তি দিচ্ছে।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ব্ল্যাক উইডো শুধুমাত্র উত্তর আমেরিকা থেকে আয় করে ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আরও ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস থেকে এসেছে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্কারলেট জোহানসন ঘনিষ্ঠ লোক থেকে জানা যায় যে, প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে তাঁর।
এইদিকে শোনা যাচ্ছে স্কারলেট জোহানসনের মতই ডিজনির বিরদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্রুয়েলা সিনেমার অভিনেত্রী এমা স্টোন।