৬৬ মিলিয়ন বছর আগে যে গ্রহাণু ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন করেছিল সেটি মেক্সিকোর কাছে পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই গ্রহাণুর নাম চিকক্সুলব। এই বড় পাথুরে গ্রহাণুটির আনুমানিক প্রস্থ ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। এটি ১৪৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি গর্ত তৈরি করেছিল। বিজ্ঞানীরা খুঁজে বের করেছেন যে লৌহঘটিত গ্রহাণুটির উৎপত্তি কোথায়।
প্রভাবটি ডাইনোসর বিলুপ্তির সাথে সাথে সেই সময়ে মোট প্রাণী প্রজাতির প্রায় ৭৫ শতাংশ বিলুপ্ত করে দিয়েছিল। এই গণ বিলুপ্তির ঘটনাটি মেসোজোয়িক যুগের সমাপ্তি হিসেবে ব্যাপকভাবে গৃহীত।
টেক্সাস-ভিত্তিক সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলেছেন, প্রভাবকটি সম্ভবত প্রধান গ্রহাণু বেল্টের বাইরের অংশ থেকে এসেছে। গ্রহাণুটি বেল্ট বৃহস্পতি ও মঙ্গলের মাঝখানে অনস্থিত।
কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা ১৩০,০০০ মডেল গ্রহাণু পরীক্ষা করে অনুমান করেন যে এটি পৃথিবীতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্রধান গ্রহাণু বেল্টে সূর্যকে প্রদক্ষিণ প্রধান করেছিল। বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন যে প্রক্রিয়াগুলোর কারণে যে অঞ্চল থেকে পৃথিবীতে বড় গ্রহাণু পৌঁছে তা পূর্বের ধারণার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ঘটে।
প্রধান গবেষকরা বলেছেন, গত এক দশক ধরে গণ বিলুপ্তির উপর গবেষণা পরিচালিত হয়েছে যা ডাইনোসরের অবসান ঘটিয়েছে কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা তাদের সব প্রশ্নের উত্তর পায়নি। এর মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরহীন রয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একটি ছিল গ্রহানুর উৎস সম্পর্কে এবং অন্যটি এই পৃথিবী-বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাগুলির ফ্রিকোয়েন্সি সম্পর্কে।
গবেষকরা গ্রহাণু সম্পর্কে আরও জানতে শুরু করে, যা তাদের চিক্সুলুব প্রভাবককে কার্বনেসিয়াস চন্ড্রাইট হিসাবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। পৃথিবীর চারপাশের অনেক বস্তু ইম্পেক্টরের অনুরূপ কম্পোজিশন শেয়ার করে তবে এগুলি আকারে অনেক বেশি ছোট।
নাসার প্লেইডস সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান যে গ্রহাণু বেল্টের বাইরের অর্ধেক থেকে ৬ মাইল বিস্তৃত গ্রহাণু পৃথিবীতে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি আঘাত করেছে।