আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি ২০ বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে এক ওভার বাকি থাকতে চার উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
শুরুতে ব্যাটিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে পঞ্চাশ রান করা দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইম আজ রান করেননি। অধিনায়ক লিটন ১৮ রানের পর আউট হন। নাইম ১১ রানে আউট হন। দুই ওপেনার হারালেও পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৪১ রান করে।
সৌম্য সরকার রানের গতি ধীর হতে দেননি। তিনি প্রথমে মুশফিকুর রহিমের সাথে এবং পরে আফিফ হোসেনের সাথে অংশীদারিত্ব করার চেষ্টা করেছিলেন। উইকেটে থিতু হওয়ার পর দুজনেই ছিটকে পড়েন। খেলার ১৫ তম ওভারে আঘাত আসে। শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা সৌম্যকে তার ইনিংস বাড়াতে দেননি। সৌম্য ২৬ বলে ব্যাট করে ৩৪ রান করেন, যার মধ্যে একটি চার ও দুটি ছক্কা।
দুশমন্ত চামেরা নুরুল হাসান ও শামীম হোসেনকে দ্রুত রান করতে বাধা দেয়। শ্রীলঙ্কা থেকে দুজনকেই ফাস্ট বোলার আউট করেন। সৌম্য ছাড়াও টি -টোয়েন্টিতে মেহেদী হাসানের ব্যাটিং সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক হয়েছে। ১২ বলে ১৬ রান, যার মধ্যে একটি চার এবং একটি ছক্কা।
বাংলাদেশ তাদের ২০ ওভার শেষ করেছে মোট ১৪৭/৭। তিন উইকেট নিয়ে চামিরা শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস
অন্যদিকে এই রান তাড়া করতে গিয়ে বিপদে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের তিন বোলার – তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, এবং সৌম্য সরকার – প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের কাউকে দাঁড়াতে দিতে রাজি হননি। আট বলে চার রান করা কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। কিন্তু, আভিস্কা ফার্নান্দো ৪২ বলে ৬২ এবং চামিকা করুণারত্নে ২৫ বলে ২৯ অবিচ্ছিন্ন-রানের জুটি গড়েন এবং এক ওভার বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করেন।
পথুম নিশঙ্ক, যিনি ১২ বলে ১৫ রান করেছিলেন, স্পিনার মেহেদীর কাছে পরাজিত হন। ১৩ রান করা দীনেশ চান্দিমালকে সৌম্য তুলে নেন। সৌম্য মোট ১২ রানে দুটি উইকেট নেন। শরিফুল ইসলাম, মেহেদী এবং তাসকিন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।
টি ২০ বিশ্বকাপ এ অংশ নেওয়ার আগে বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড হবে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রতিপক্ষ।